আমাদের মহাবিশ্ব এতোই বড় যে এর আকার সম্পর্কে আমাদের কোন আইডিয়াই নেই। আর এই মহাবিশ্বেই এত সব গ্রহ মজুদ রয়েছে যেটি আমরা কল্পনা করতে পারি না! আর আজকের এই পোষ্টে এই মহাবিশ্বের কিছু রহস্যময় ও আজব গ্রহ সম্পর্কে আমি কথা বলবো। অবশ্যই পোষ্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। কারন শেষে আলোচনার গ্রহটি সবচেয়ে অদ্ভুত হতে চলেছে!

Diamond Planet:
এই Planet এর আসল নাম হলো 55 Cancri E। 

এই গ্রহের ভর আমাদের পৃথিবীর ভরের 8.63 গুন।  এই গ্রহের ব্যাস আমাদের পৃথিবীর ২ দুটির সমান। এই গ্রহটি 1.3 ডায়মন্ড এর জন্য বিখ্যাত। এর কারন হলো এই গ্রহের আবহাওয়া তে প্রচুর পরিমানে

কার্বোন রয়েছে। যা গ্রহটির প্রচন্ড তাপ এবং চাপে ডায়মন্ডে পরিনত হয়।

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে ঘষিত হয় যে এই গ্রহটি কার্বোন প্ল্যানেটও হতে পারে। 55 Cancri E গ্রহের বর্তমান মূল্য 26.9 Nonnilion $। মানে 26.9 এর পাশে আরো ৩০ টি সূন্য বসালে যে সংখা হয় তত। আর এই সংখা টা আমাদের  পৃথিবীর টোটাল GDB এর চেয়েও ৩৮৫ কোয়াট্রিলিওন বেশি। ক্যালকুলেটর এর হিসেবে এক কোয়াট্রলিয়ন মানে ১ এর পরে ১৫ টি সূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হবে তত। মানে বুঝতেই পারছেন গ্রহটির মূল্য কত বেশি! 55 Cancri এ গ্রহটি তার নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। যার কারনে এই গ্রহটির পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। বরং এই গ্রহটির পানি Super Critical Stat এ থাকে। Super Critical Stat হলো এমন একটি দশা বা অবস্থা যেখানে পানির তরল এবং বাষ্পিয় পর্যায়ে মধ্যবর্তী অবস্থান করে।

পরবর্তী গ্রহ হলো Kepler 452 - B

নাসার মতে ২০১৫ তে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহর Discovered হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে Kepler 452 - B। আমাদের পৃথিবীর যেমন নিজস্ব সূর্য রয়েছে, সেভাবেই এই গ্রহটিরও নিজস্ব সূর্য রয়েছে। যার নাম হলো G2


অবাক করার মতো বিষয় এটা যে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যতটুকু, Kepler 452 - B তার সূর্যের ও দূরত্ব ততটুকু। আমাদের পৃথিবীর মতই এখানেও পানি মাটি এবং বাতাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মানে হলো এখানে পৃথিবীর মতোই ভিবিন্ন প্রজাতির জীবের অস্তিত্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পৃথিবীর সাথে এত মিল থাকার জন্য এটিকে Earth 2.O বলা হয়ে থাকে। আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে ৩৬৫ দিন সময় লাগে, অপরদিকে এই প্ল্যানেটের তার নিজস্ব সূর্যের চারপাশে ঘুরতে ৩৮৫ দিন সময় লাগে। মানে ২টি প্ল্যানেটের রেগুলেশনের মানের পার্থক্য ২০ দিনের।

আমাদের সূর্য 4.5 ব্রিলিয়ন বছর পূরনো। আর অপর দিকে G2 তারাটি ৬ ট্রিলিয়ন বছর পুরনো। Kepler 452 - B গ্রহটি আমাদের পৃথিবীর ২ গুন বড়। কিন্তু

আমাদের পৃথিবীর সাথে এত মিল এবং বিচিত্র প্রানী সব থাকা সম্ভাবনার পরও কেন এই প্ল্যানেটে আমরা এখনো কোন এলিয়েনের অস্তিত্ব খুজে পাই নি।

আসলে পৃথিবী থেকে গ্রহটি প্রায় ১৪০০ লাইট ইয়ার দূরে অবস্থি।  এখন আপনি হয়তো এটা বুঝেই গেছেন যে এখানে পৌছাতে বর্তমান সময়ের Space Sheep এর কত সময় লাগবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি নাসা স্পেস এক্সেস প্রতিষ্ঠান এর মতো ট্রাবেলকে অনেক বেশি এডভান্স করতে পারে যার জন্য আমরা খুব তারাতারি অনেক দূরত্ব পার করতে পারি তাহলে হয়তো আমরা এই গ্রহে ট্রাবেল করতে লারবো।

যদি এই ২ টি প্ল্যানেট সম্পর্কে জেনেও আপনি মজা না পেয়ে থাকেন তাহলে এই শেষ প্ল্যানেট সম্পর্কে জানুন। কারন এটি অনেক স্পেশাল হতে চলেছে! তাছাড়া আগের প্ল্যানেটটি পৃথিবী থেকে অনেক দূরত্ব, কিন্তু এখন যে প্ল্যানেট সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি এটা আমাদের সোলার সিষ্টেমের মধ্যেই অবস্থিত। যার নাম হলো "টাইটান"।


টাইটান মূলত কোন গ্রহ নয়। এটি হলো শনি গ্রহের চাঁদ। যেমন করে পৃথিবী নিজস্ব সেটেলাইট মুন রয়েছে, সেরকম শনি গ্রহের ও নিজস্ব সেটেলাইট রয়েছে। আর এটি হলো "টাইটান"।

কিন্তু এটা এতো স্পেশাল কেন! টাইটানের বায়ুমণ্ডল

এতো বেশি ঘন যে ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত আমরা জানতামই না টাইটানের ভেতরে কি কি মজুদ রয়েছে। ২০০৫ সালের পর বিজ্ঞানীরা টাইটানের ভেতরে সবকিছু সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এটি এমন একটা যায়গা সেখানে নদী ও সমুদ্র ও রয়েছে।

তাছাড়াও টাইটানে পৃথিবীর মতই বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে টেম্পারেচার -১০৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর কারনে টাইটানের পানিকে যদি 

আপনি ধরেন তাহলে এটিকে একটি পাথরের মতই শক্ত লাগবে। আর এখানে ন্যাচারাল ঘ্যাস, মিথেন ঘ্যাস অবস্থায় না বরং লিকুইড অবস্থায় থাকে। তো এখনো পর্যন্ত আমি যেসব রিভার্স, ক্লাউড এর কথা বলেছি এগুলো আসলে পানির নয়! বরং মিথেন ঘ্যাস এর তৈরী। এখনো পর্যন্ত টাইটান গ্রহের মাত্র ২০% তথ্য সাইন্টিস্ট-রা জানতে পেরেছেন। কিন্তু ২০% এর মধ্যেই এতো পরিমান মিথেন ঘ্যাস মজুত রয়েছে, যা আমাদের পৃথিবীতে মজুদ থাকা সব ঘ্যাস ও তেল এর চেয়েও ১০০ গুন বেশি। যে গতিতে আমাদের পৃথিবীতে ন্যাচারাল রিসোর্স গুলো শেষ হচ্ছে তা ভবিষ্যতে টাইটানে ষ্পেস মিসন চালানো আমাদের অনেক ফায়দার কারন হতে পারে।

আর টাইটান সম্পর্কে আজব বিষয় হচ্ছে এটি যে আপনি চাইলে টাইটান গ্রহে উড়তেও পারবেন। আসলে এই টাইটানে গ্রেভিটেশনাল ফ্রোস অনেক কম, তাছাড়া এর বায়ুমন্ডলও অনেক বেশি ঘন তাই এখানে আপনি অনেক উচু থেকে লাফ দিয়ে পরলেও মাটিতে পরে আপনি মারা যাবেন না!

বরং পাখির মত উড়তে থাকবেন।