সাউথ আফ্রিকার একটি স্থল বেষ্ঠিত দেশ জাম্বিয়া। পশু পাখিদের অভায়রন্য হিসেবে পরিচিত এ দেশটির আরেকটি পরিচয় হচ্ছে, দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে লাজুক মানুষদের দেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে লাজুক ও ভদ্র মানুষদের দেখা পাওয়া যায় এই জাম্বিয়াতে। তবে জাম্বিয়া সম্পর্কে অদ্ভুত ও মজার তথ্যগুলো এতোটুকুতেই শেষ নয়। জাম্বিয়ানরা কিভাবে মানুষদের আপ্যায়ন করে, খাবার পর কিভাবে হাত ধোয় কিভাবে বৈচিত্র্যর মাঝে তাদের জীবন কাটে তাও আপনাকে জানতে হবে। চলুন অল্প কথায় যেনে নেয়া যাক।


জাম্বিয়াতে নারী ও পুরুষেরা এক সাথে সম্মিলিত হয়ে বিছানায় যাওয়া ছাড়া আর কোন কাজই করে না। অর্থাৎ পুরুষরা পুরুষদের কাজ করে, নারীরা নারীদের কাজ করে। কেউ কারো কাজে হাত দেয় না।  উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ধরুন একটি সুইমিংপুলে কয়েকটা ছেলে গোসল করছে। একটি মেয়ে এসে সেখানে ঝাপ দিলো। সাথে সাথে সেখানে এক সেকেন্ডও দেরি না করে সব ছেলেরা পুল ছেড়ে উঠে যাবে। এমনকি তারা স্ত্রীর সাথেও সুইমিংপুলে সাতার কাটতে নারাজ। এতটাই লাজুক এ জাতি।

জাম্বিয়ানরা যখন কারো সাথে দেখা করে বা অতিথিদের আমন্ত্রণ জানায় তখন তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাত বারিয়ে হাত মেলায়। আমরা যখন কারো সাথে দেখা হলে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করি জাম্বিয়ানরা সেটা করে না। তাদের কেউ জড়িয়ে ধরলে তারা বেশ বিভ্রত হন ও ক্ষেপে যান।


এখানে যদি কারো বাড়িতে আপনি বেড়াতে যান তাহলে তারা আপনাকে দরজার সামনেই বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাবে। কিন্তু, এরপর ঘরে ঢুকে আপনি তাদের কোন চেয়ারে বসতে পারবেন না। বসার জন্য তাদের চেয়ার আনার অপেক্ষা করতে হবে। ধোয়া মোছা করে তারা আপনার জন্য বিশেষ চেয়ার নিয়ে আসবে।


জাম্বিয়ার মুল খাবার হচ্ছে নসিমা এই খাবারটি সবার সাথে বসে আপনাকে খেতে হবে। সবার আগে যদি আপনার খাওয়া শেষ হয়ে যায় তবু্ও আপনি উঠে যেতে পারবেন না। সবার খাওয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে। তারপর এক সাথে লাইনে দাড়িয়ে হাত ধুতে পারবেন।

জাম্বিয়ানরা ২ হাত ব্যাবহার করে খাওয়া অপছন্দ করেন। তাদের সামনে ২ হাতে খাওয়া মানে আয়োজককে অপমান করা।

এই দেশের মানুষদের হিউমার খুবই কম। সাধারাণ একটা উদাহরণ দিয়েই বুঝাচ্ছিঃ একজন জাম্বিয়ান যদি আরেকজন জাম্বিয়ানের বাসায় অতিথি হিসেবে যান তাহলে তাকে ভূলেও জিজ্ঞাসা করা যাবে না "আপনি কি ক্ষুধার্ত?" এ ধরনের প্রশ্ন করলেই পেটে শত ক্ষুদা থাকলেও অতিথি সেটাকে অপমান জনক প্রশ্ন বিবেচনা করে খেতে অসম্মতি জানিয়ে উঠে চলে আসবে। তাই জাম্বিয়ানদের কখনো খাবার সাধতে নেই বা কিছু খাবে কিনা জিজ্ঞাসা করতে নেই। সরাসরি তাদের হাতে খাবার তুলে দেয়াই ভালো।

জাম্বিয়ানে কারো বাসায় বা কোন রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে আপনি বার বার ধন্যবাদ জানাতে পারবেন না, বা খাবারের তারিফ করতে পারবেন না। খাবার শেষে একেবারে বেড় হয়ে যাবার সময় জিকম বলে একবার ধন্যবাদ জানাতে পারবেন। তা না হলে এটা তাকে খাবার দানের লজ্জা হিসেবে বিবেচনায় নিবে। আর এখানে আপনি খাবার খেয়ে পুরো প্লেট ফাকা করতে পারবেন না। সামান্য খাবার প্লেটে অবশিষ্ট রাখতে হবে। রান্না ঘরে যে শিশুটি প্লেট ধোয়ার কাজ করে এই খাবারটি তার প্লেটে যাবে।


এদেশের মানুষ অতিরিক্ত কথা বলা পছন্দ করে না। বার্তি কথা বলতে তারা খুবই লজ্জা পায়। তাই কথার বাহিরে অন্য কথা বলা রসিকতা বা হাসি ঠাট্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে তাদের রাগী চেহারা দেখার জন্য আপনাক্র তৈরী হতে হবে।

জাম্বিয়া সম্পর্কে আজ এতোটুকুই! ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভূলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!